আমাদের লক্ষ্য
আমরা প্রতিনিয়ত তথ্য উপাত্তের অজানা জটিলতা বৃদ্ধির মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা এখানে উপস্থাপন করছি এমন একটি জটিলতা, যেমন, জ্ঞানের আকৃতি, বিশালতা এবং স্থান-কাল ভেদে জ্ঞানের পরিব্যাপ্তি এবং জ্ঞান পরিবর্তনের অপ্রত্যাশিত গতি, যার প্রকৃতি, সৃস্টি এবং কার্যকালিন উভয় সময়েই অজানা। ওয়েব এবং মাল্টিমিডিয়া সহ সমস্ত তথ্য যা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে সহজলভ্য হচ্ছে – এরই সুস্পষ্ট উদাহরণ। এই গবেষণায় আমাদের লক্ষ্য এমন একটি অভিনব পন্থা বের করা যা ব্যপক মাত্রার জটিলতা মোকাবেলা করতে সক্ষম এবং আমরা আশাবাদী যে এইটি তথ্য এবং জ্ঞান উপস্থাপনার বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি যা সম্মুখিন হচ্ছে এমন কিছু আকার বর্ধনজনিত সমস্যার সমাধান করবে। এখানে আমাদের মূল ছিন্তাধারা এমন একটি উর্ধ্বমুখী সমাধানের প্রস্তাবনা যেখানে বৈচিত্র কোন ত্রুটি নয় বরং বৈশিষ্ট, যে বৈশিষ্টকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে, কাজে লাগাতে হবে এবং একটি সাধারণ অবকাঠামোয় আত্মীভূত করতে হবে। জ্ঞান যেখানে মূলতঃ মৌলিক তথ্য কণার সন্নিবেশ সেখানে আমাদের প্রস্তাবনায় এই প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে জ্ঞানের প্রাপ্তি হবে কার্যকালীন সময়ে অভিযোজন। প্রথাগতভাবে, আমরা জ্ঞান ভান্ডার নির্মাণ করবো অত্যাধিক পারস্পরিক সংযুক্ত তথ্য কণিকার ক্ষেত্রকে ভিত্তি করে। জ্ঞান ভান্ডার কখনোই নিতান্ত শূন্য থেকে তৈরী হবে না, বরং অধিক এবং অধিকতর অন্যান্য বিদ্যমান তথ্যাংশ অভিযোজন, যা প্রায়ই সম্পন্ন হয় কার্যকালিন অবস্থায় বিবর্তন প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে। এই পদ্ধতি সব সময় বাহ্যিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত বা পরিকল্পিত হয় না, বরং যে পরিবেশে পদ্ধতি সন্নিবেশ করা হয় তার প্রভাবিত পরিবর্তন দ্বারা। এ কাজের প্রধান অন্তরায় এমন কিছু নকশা পদ্ধতি এবং যন্ত্রাদি প্রনয়ন করা যা এই শক্তিকে ব্যবহার, নিয়ন্ত্রন এবং সদ্যাগত তথ্যের গুনাগুনের প্রভাব দ্বারা একটি কার্যকরি নকশা প্রণয়ন সম্ভব করে। এটি একটি সমন্বয়সাধনযোগ্য, এবং যেখানে প্রযোজ্য স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়সাধনযোগ্য, তথ্য ব্যবস্থা এবং এই তথ্য প্রকৌশল এবং ব্যবস্থাপনা পরিবর্ধণের নতুন পদ্ধতির প্রস্তাবনা করা যাকে আমরা বলি অভিযোজনের মাধ্যমে জ্ঞান-বৈচিত্র ব্যবস্থাপনা।
ফাস্তো জুঙ্কিলিয়া (প্রকল্প প্রধান)
ত্রেন্ত, ৫ই মে, ২০০৬, রাত আনুমানিক ৩ টা ৫২ মিনিট।
তাবিন, ফিরোজ, নূরী, বিশ্বনাথ, দোলন এবং সুচেতা অনূদিত